আজানের উত্তর দেওয়া সুন্নত

আজানের উত্তর দেওয়া সুন্নত

আজান শোনার পর প্রত্যেক মুসলিমের জন্য উত্তর দেওয়া সুন্নত। এতে রয়েছে উপকারিতা ও সাওয়াব। যারা আজানের জবাব দেয়ার পর আল্লাহর কাছে কোনো কোনো কিছু প্রার্থনা করেন; আল্লাহ তাআলা বান্দার সে চাওয়া পূর্ণ করেন। এছাড়া যথাযথভাবে আজানের জবাব দেয়ায় রয়েছে চিরস্থায়ী শান্তির স্থান জান্নাতের ঘোষণা।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি মহানবী (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘তোমরা যখন মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে শুনবে, তার অনুরূপ বাক্য পাঠ করবে। …’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮৪৯ )

আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম

মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। এটা হলো- আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি।

কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ এবং ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা এটির পরিবর্তে ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবে। এটাই ফিকাহবিদদের বিশুদ্ধ অভিমত। (মুসলিম, হাদিস : ৩৮৫) যারা জবাব দেবেন না।

নামাজরত, পানাহারে মগ্ন, মলমূত্র ত্যাগকারী ও স্ত্রীর সঙ্গে শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত ব্যক্তি আজানের জবাব দেবে না। ঋতুকালীন সময়ে নারীরাও আজানের উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকবে।

অনেক ফিকাহবিদদের মতে আজানের পরপর যদি উল্লিখিত কাজ থেকে অবসর হওয়া যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আজানের জবাব দিয়ে দেওয়া উত্তম। কেউ কোরআন তেলাওয়াতে থাকলে সাময়িক তেলাওয়াত বন্ধ রেখে আজানের জবাব দেওয়া উত্তম। (আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৯৭)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *