আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ | আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ | আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

আয়াতুল কুরসি পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় এবং সব থেকে বড় সূরা আল-বাক্বারার ২৫৫ তম আয়াত। এটি কোরআনের সব থেকে প্রসিদ্ধ আয়াত এবং বিভিন্ন আলেমগন একে সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত হিসাবে মান্য করেন। এই আয়াতটিতে সমগ্র মহাবিশ্বের উপর আল্লাহের একক এবং জোরাল ক্ষমতার ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আয়াতুল কুরসি দুষ্টু আত্মা (জিন) দূর করার জন্য সব থেকে শক্তিশালী একটি আয়াত।

আবু উমামা থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না।
(নাসাঈ কুবরা ৯৯২৮, ত্বাবারানী ৭৫৩২, সহীহুল জামে ৬৪৬৪)

আরো পড়ুনেঃ আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ

اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ

আল্লাহু লা— ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্কাইয়্যুম
আল্লাহ,তিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক।

لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ

লা- তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম
তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়।

لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ

লাহু মা ফিসসামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্
আকাশ ও ভূমিতে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর।

مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ

মান যাল্লাযী ইয়াশ ফাউ ইনদাহু— ইল্লা বি ইজনিহ
কে আছে এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তার অনুমতি ছাড়া?

يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ

ইয়া লামু মা বাইনা- আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম
দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন।

وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاءَ

ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি— ইল্লা বিমা শা’—আ
তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু তা ব্যতীত – যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন।

وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاواتِ وَالأَرْضَ

ওয়াসিয়া কুরসি ইউহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ
তাঁর আসন সমস্ত আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে।

وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا

ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা
আর সেগুলোকে ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়।

وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আযী-ম
তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি আবার বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, “আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম” (আয়াতুল কুরসী)। তখন তিনি আমার বুকে (হালকা) আঘাত করে বলেনঃ হে আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক। (সুনানে আবু দাউদ ১৪৬০)

শয়নকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাজতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে। যাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হতে না পারে। (বুখারি) হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত: রাসুল (সা.) বলেছেন: সুরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে।
(মুস্তাদরাকে হাকিম:২১০৩)

আবূ হুরাইরাহ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আনহু) বলেছেন, রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, সূরা আল বাক্বারায় এমন একটি আয়াত রয়েছে যা কুরআনের অন্য সব আয়াতের সর্দার বা নেতা। সে আয়াতটি যে ঘরে পড়া হয়, তা থেকে শয়তান বেরিয়ে যায়। (তাফসীর মা আরেফুল কুরআন-১ম খণ্ড, পৃ: ৬৭৬)

সরাসরি ইউটিউব থেকে উপভোগ করুন

 

সম্মানিত পাঠক, আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে আপনাকে স্বাগতম

Please Follow US – Halaltune.com | Facebook 

Please Subscribe US – Halal Tune Blog | Youtube

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *