গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আগামীকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এরই মধ্যে সারা দেশ থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন, অবস্থান নিয়েছেন ইজতেমা ময়দানের নির্ধারিত খিত্তায়। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে (সাদ অনুসারী) বিশ্ব ইজতেমার এই পর্বের আয়োজন।
ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে মুসুল্লিরা গত রাত থেকেই আসতে শুরু করেছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাবলীগ জামায়াতের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সাদে অনুসারীরা এ দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিচ্ছেন। এরই মধ্যে মুসল্লিরা তাদের নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন।
দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার জন্য প্রথম পর্বের অবকাঠামো স্বাভাবিক রয়েছে। মুসল্লিদের সুযোগসুবিধা পানি, বিদ্যুৎ গ্যাস, পয়ঃনিষ্কাশনসহ সকল ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। মুসল্লিরা বলছেন, ইজতেমার সুযোগসুবিধা বাড়ানো হয়েছে। ইসলামের কর্মের মাধ্যমে মহান আল্লাহতালাকে রাজি-খুশি করে পরকালে শান্তি পেতে পারেন এই নিয়তে ইজতেমায় এসেছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবারেও মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব, আনসার সমন্বয়ে গঠিত কয়েক সেক্টরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের নিরাপত্তা উত্তরোত্তর ভালো করা হচ্ছে। পুরো ময়দানে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে। প্রায় দশ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ময়দানে কাজ করছে।
এবারও ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই ভাগে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথম পক্ষ বা মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা পালন করেছেন ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি। চার দিন বিরতির পর শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় পক্ষ বা মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীদের ইজতেমা।
ইজতেমায় প্রথম পর্বের ন্যায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সব মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করছে। দ্বিতীয় পর্বে সমস্যা হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব উপলক্ষে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ইজতেমা ময়দানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমন দাবি করেন। এসময় তিনি ফিতা কেটে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।
দ্বিতীয় পর্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাবলীগের কয়েক হাজার মুসল্লি যোগদান করেছেন। বিদেশি মেহমানদের আবাসনসহ সকল বিষয়ে প্রথম পর্বের মতো সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করেছে ইজতেমা আয়োজকরা। ২২ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।