চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় ৪ শতাধিক দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। তবে আহতদের মধ্যে ৪০-৫০ জনের অবস্থা গুরুতর। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে (সাবেক কাশেম জুট মিল) লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুন লাগে। প্রথমে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। আবার অনেক উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। হঠাৎ একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক গনমণমাধ্যমকে বলেন, আগুন লাগার পর প্রথমে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। আবার অনেক উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। হঠাৎ একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের কারণেই মানুষের মৃত্যু বেড়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন এখনো জ্বলছে। আগুন নেভাতে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন। এখনো বিভিন্ন কনটেইনারে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে।
চমেক মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম বলেন, ‘হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।’
ইয়া আল্লাহ্! আহতদের সুস্থতা দান করুন। মৃতদের শাহাদাতের মর্যাদা ও পরিবারকে সান্ত্বনা দান করুন। (আমিন)