চিরশান্তি ও সফলতার পথ হলো ”তাওবা”

চিরশান্তি ও সফলতার পথ হলো ”তাওবা”

তাওবা সংক্রান্ত পবিত্র কুরআনের আয়াত ও হাদীসের সংখ্যা অনেক! সেগুলোর প্রতিটি মুমিন বান্দাকে খুবই আনন্দিত করে, নতুন করে জীবন শুরু করার অনুপ্রেরণা জোগায়। আমরা কে গুনাহগার নই? রব্বে কারীম আল্লাহ তাআলা সরাসরি তাওবাকারীর জন্য ক্ষমার সুসংবাদ দিয়েছেন; আবার প্রিয় নবীজি ও আল্লাহ তাআলার অশেষ দয়া ও তাওবা কবুলের সুসংবাদ শুনিয়েছেন আমাদেরকে!

তাওবা কিভাবে করব!

গুনাহ যেমন আল্লাহ পাকের থেকে দূরে সরে যাওয়া, এর বিপরীতে তাওবা হল: আল্লাহ তাআলার দিকে প্রত্যাবর্তন, ফিরে আসা। বান্দা যখন গুনাহ করে ফেলে, তারপর তার মধ্যে যদি অনুশোচনা হয়, সে যদি অনুতপ্ত হয়ে লজ্জিত হয়, আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চায়, এবং এমনটি আর না করার দৃঢ় সংকল্প করে নেয় এটিই তাওবা! বান্দার হক নষ্ট করে থাকলে তা সাধ্য অনুযায়ী চুকিয়ে দেওয়া জরুরি, সামর্থ্য-সাধ্য থাকতেও বান্দার হক ফিরিয়ে না দিলে ঐ বিষয়কট তাওবা পরিপূর্ণ হবে না। এই ব্যাপারটিতে আজ আমরা খুবই বেপরোয়া! সাবধান, কারো হক নষ্ট করে থাকলে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে ফিরিয়ে দেওয়ার এবং আল্লাহ তাআলার কাছেও ক্ষমা চাইতে হবে। যদি পাওনাদার বান্দার থেকে সুস্পষ্ট ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয় তা অবশ্য ভিন্ন কথা।

যখন বান্দা জানল, বুঝল অর্থাৎ উপলব্ধি করল যে, তার দ্বারা গুনাহ হয়েছে, তখনই যেন সেট তাওবা করে নেয়। একটুও বিলম্ব করা ঠিক হবে না; কখন মৃত্যু চলে আসে, বা মনের অবস্থা কখন পরিবর্তন হয়ে আরো খারাপ হয়ে যায়। যেসব গুনাহর জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া লাগে সেগুলোর জন্যও  তাওবা করে নিয়্যত করতে হবে: (অর্থাৎ দৃঢ় ইচ্ছা করে ফেলতে হবে যে) এসব ক্ষতিপূরণ আমি এখন থেকেই আদায়/পরিশোধ করব ইনশাআল্লাহ! মনে রাখতে হবে, আমরা কে কী ভাবি আর কতুটুক চেষ্টা করি, আল্লাহ তাআলার সবই জানেন। তাঁকে ফাঁকি দেওয়া যাবে না।

অন্তরেট তাওবা করার সঙ্গে সঙ্গে মুখেট তাওবার বাক্য বলা উত্তম, কিন্তু শুধু মৌখিকট তাওবা গ্রহণযোগ্য নয়, তা খাঁট তাওবা নয়। খাঁটিট তাওবার জন্য শুধু অন্তরে লজ্জিত, অনুতপ্ত, ভবিষ্যতে আর গুনাহ না করার সংকল্প জরুরি!

বার বার গুনাহ থাকা সত্ত্বেও তাওবা করে 

একটু চিন্তা করা উচিত। কেউ আমাদের সামান্য অবাধ্যতা অথবা বিরোধিতা করলে আমরা কেমন আচরণ করি! আর যিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা ও মালিক, যাঁর নিয়ন্ত্রণে আসমান ও যমীন এবং তার মাঝে যা কিছু আছে সব- তাঁর আচরণ বান্দার – প্রতি কেমন?! তিনি বান্দার জন%ELS

Related Articles