তুরস্ক- সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে

তুরস্ক- সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে

তুরস্ক ও সিরিয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পরেও কমেনি নিহতের সংখ্যা। তবে এতে একের পর এক অলৌকিক ঘটনা। দেশটিতে উদ্ধারকারীরা সোমবার ধসে পড়া ভবন থেকে বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে এবং একই পরিবারের তিন সদস্য দাদি, মা ও মেয়েকে উদ্ধারের জন্য খনন করছে।

এ পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৬৪৩ এবং সিরিয়ায় পাঁচ হাজার ৭৪১ জন। বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের কংক্রিট সরালেই মিলছে লাশ।

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে চূড়ান্ত সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। সংস্থাটি বলেছে যে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এখন তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের (গরম খাবারের) প্রয়োজন রয়েছে।

সিরিয়ার সরকার তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দেশের ধ্বংসাত্মক ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানিয়েছে, ছয় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ানতেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে ১৭০০ আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এই ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বহুতল ভবন ধসে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। মোমের মতো ধসে পড়ে একাধিক ভবন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *