বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ এর প্রস্তুতি চলছে তুরাগতীরে

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ এর প্রস্তুতি চলছে তুরাগতীরে

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। ঢাকার টঙ্গীর তুরাগতীরে চলছে প্রস্তুতি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মুসল্লিরা স্বেচ্ছাশ্রমে প্রস্তুত করছেন ইজতেমার ময়দান। ইতিমধ্যে ময়দানের প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে স্বেচ্ছায় কাজ করে যাচ্ছেন মুসল্লিরা। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের সেবা দিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের একাধিক টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। নিরাপত্তায় ময়দান ঘিরে সাত হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ও বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

প্রতি বছরের মত এবারো ১৬০ একর জায়গা বিস্তৃত ময়দানে বিশাল শামিয়ানা টানানোর কাজ প্রায় শেষ তুরাগ নদে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা তৈরি করছেন পন্টুন সেতু। যা দিয়ে সাময়িকভাবে মুসল্লিরা এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করতে পারবেন। বিশাল ময়দানে খিত্তা-ভিত্তিক চলছে মাইক বাঁধা এবং বৈদ্যুতিক তার ও বাতি টানানোর কাজ।

এছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ১২টি উৎপাদন নলকূপের মাধ্যমে ১২ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতসহ ওজু-গোসলের হাউজ ও টয়লেটসহ প্রয়োজনী স্থানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ পাকা দালানে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। ময়দানের চাহিদা মোতাবেক ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ ও ২৫টি ফগার মেশিনে মশক নিধনেরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ইজতেমা ময়দানে কাজ করতে আসা সেচ্ছাসেবিরা বলেন, সম্মিলিতভাবে ময়দানের বিভিন্ন কাজ করেন। কোনো নির্দেশনা নেই, মুসল্লিদের খেদমতে নেকির আশায় স্বেচ্ছায় কাজ করছেন। যে যার মতো ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ চটের শামিয়ানা টানছেন, কেউ বাঁশ পোঁতার কাজ করছেন। অনেকে কোদাল নিয়ে মাঠে ড্রেন করছেন। বয়ান মঞ্চের কাজও করছেন মুসল্লিরা।

ইজতেমা ময়দানের মুরব্বি মাহফুজুর রহমান বলেন, বিশ্ব ইজতেমার সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। আগত মুসল্লিরা জেলাওয়ারি খিত্তায় অবস্থান করবেন। প্রতি বছরের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ও আরবি ভাষায় তর্জমা করা হবে।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা থেকে এ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করবে।

রোগী পরিবহনের জন্য সার্বক্ষণিক ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন থাকবে। জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে সাত হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও রুফটপ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও বিশেষ টিমসহ প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রতি খিত্তায় এবার দুটি করে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা হবে। তুরাগে নৌটহলও থাকবে। তিনি জানান, দুই পর্বের ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও ইজতেমা আয়োজনে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না বলে তারা আশ্বাস পেয়েছেন।

সম্মানিত পাঠক, আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে আপনাকে স্বাগতম

Please Follow US – Halaltune.com | Facebook 

Please Subscribe US – Halal Tune Blog | Youtube

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *