রাতে ঘুমানোর আগে ওযু করা সুন্নত, আসুন জেনে নিই ঘুমানোর আগে ওযু করার কি ফজিলত
ঘুমানোর আগে ওযু করে ঘুমানো রাসূল (সাঃ) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। ওযু করে ঘুমালে শরীরটা যেমন ফ্রেশ থাকে, ঘুমটাও ভাল হয়। শুধু ওযু করে ঘুমানোর জন্য আল্লাহ তার বান্দার জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করেন। যেই ফেরেশতা রাত ভর ঐ ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর রাতে যে কোনো কারণে ঘুম ভেঙে গেলে দুনিয়া বা আখিরাতের যে কোনো কল্যাণের দুয়া আল্লাহর কাছে করলে সেটি কবুল করা হয়।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: “তোমরা তোমাদের দেহগুলোকে পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা ওযু অবস্থায় ঘুমায়, তবে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফিরিশতা শুয়ে থাকেন। রাত্রে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফিরিশতা বলেন: হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে ওযু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।”
[সূত্রঃ সহীহ ইবনু হিব্বান ৩/৩২৮, তাবারানী, আল-মু’জামুল কাবীর ১২/৪৬৬, সহীহুত তারগীব ১/৩১৭]
মু’আয ইবনু জাবাল (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : “যে কোনো মুসলিম যদি ওযু অবস্থায় (আল্লাহর যিকিরের উপর) ঘুমায়; এরপর রাত্রে কোনো সময় হঠাৎ তাঁর ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং সে (ঐ অবস্থায় শুয়ে শুয়ে) আল্লাহর কাছে তাঁর দুনিয়া বা আখিরাতের কোনো কল্যাণ কামনা করে, তবে আল্লাহ তাঁকে তাঁর প্রার্থিত বস্তু দিবেনই।” [সূত্রঃ হাদীসটি সহীহ। নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা ৬/২০২, সুনানু আবী দাউদ ৪/৩১০, নং ৫০৪২, মাজমাউয যাওয়াইদ ১/২২৩, ২২৬-২২৭, সহীহুত তারগীব ১/৩১৭]
আরো পড়ুন – ঘুমানোর আগে মাসনূন আমল, ঘুমকে বানিয়ে ফেলি ইবাদত
আল্লাহ আমাদেরকে উক্ত হাদীসের উপর নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর নিকট ঐ আমলটি সবচেয়ে প্রিয় যেটা নিয়মিত করা হয়, যদিও সেটা অনেক অল্প পরিমাণে হয়। আসুন ওযু করার এই আমলটি আমরা আমাদের অভ্যাসে পরিণত করে ফেলি। রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা যেমন অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছি একই ভাবে ব্রাশের সাথে ওযু করাকেও আমাদের অভ্যাস বানিয়ে ফেলি।
কনটেন্ট কালেকশন – Muslim Day app, hadithbd