দলীয় মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার জেলা-মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন।
সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় বরিশালে এক সংবাদ সম্মেলনে চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
এ সময় বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি আসন্ন সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সকাল ৮টায় বরিশাল সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শুরুর পর বরিশালে সিটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করে চরমোনাই পীরের দলটি। বিষয়টি জানাজানির পর ইসলামী আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হতে থাকেন। এ ঘটনায় সংঘর্ষের আশঙ্কাও দেখা দেয়। শেষমেষ আর নতুন করে সংঘর্ষ হয়নি। এমন অবস্থার মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করেন চরমোনাই পীর। সেখানে খুলনা ও বরিশাল সিটির ফল প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি সিলেট ও রাজশাহী সিটির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এবার খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সিটি করপোরেশনের মধ্যে মোট ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। মোট ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরিশাল সিটিতে ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন। সিটির মোট ভোটকেন্দ্র ১২৬টি। এখানে ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩০ আর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংখ্যা ১০। কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ১১৬ জন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪২ জন।