IPv4 আসলে কি?

IPv4 আসলে কি?

IPv4 কি?

ইন্টারনেট প্রটোকল চালুর প্রথম দিকে নেটওয়ার্ক প্রশাসকরা আইপি ঠিকানাকে দুটি অংশে ভাগ করেন – একটি হল নেটওয়ার্ক নম্বর এবং অপরটি হল হোস্ট নম্বর।নেটওয়ার্ক নম্বর হল আইপি ঠিকানার প্রথম ৮বিট বা প্রথম অক্টেট এবং বাকী ২৪টি বিট বা ৩টি অক্টেট নিয়ে হল হোস্ট নম্বর। নেটওয়ার্ক নম্বর ইন্টারনেট প্রটোকলে সুনির্দিষ্ট নেটওয়ার্কটি খুজে বের করে এবং হোস্ট নম্বর দিয়ে ওই নেটওয়ার্কের ডিভাইস বা কম্পিউটারটিকে চিহ্নিত করা হয়। এই ব্যাপারটিকে বাসা বা বাড়ির ঠিকানার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। কোন একটি ভবন অনুসন্ধান করার জন্য প্রথমে এলাকাটি খুজে বের করতে (নেটয়ার্ক নম্বর) হয় এবং পরবর্তিতে বাড়ির নম্বর (হোস্ট নম্বর) দিয়ে ভবনটিকে সনাক্ত করা হয়।

কিন্তু নেটওয়ার্কের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় নেটওয়ার্ক খুজে বের করার এই পদ্ধতিটি সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পরে কারণ এক অক্টেট দিয়ে বিপুল সংখ্যাক নেটওয়ার্ক এর জন্য স্বতন্ত্র নেটওয়ার্ক নম্বর প্রদান করা সম্ভবপর ছিল না। এ কারণে ১৯৮১ সনে ইন্টারনেট অ্যাড্রেসিং স্পেসিফিকেশন সংশোধন করে ক্লাশফুল নেটওয়ার্ক পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।

(IPv4) এটির পুরো নাম হলো Internet Protocol Version 4. iVv4 আসলে আমাদের ডিভাইসগুলোর IP number বহন করে। আসলে।P number টি কেন দেয়া হয় ?? একটু চিন্তা করুণ যে আপনার বাড়ির ঠিকানা চাইলে আপনি কি আমাদের দেন ? নিশ্চই আপনার গ্রামের নাম, বাড়ির নাম্বার সাথে আপনার বাবার নাম সহ আমাদের দিয়ে থাকেন। ঠিক IP number টি ব্যবহার করা হয় আপনি যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। IP number দিয়েই শুধু আপনার ডিভাইসে প্রবেশ করা সম্ভব হয়। আর এই কারণে IP number ব্যবহার করা হয় । যাই হোক এটাতে আরও অনেক কিছু আছে আমি সেই দিকে না আর যাই । মেইন পয়েন্টে আসি । IPv4 চারটি Dotted decimal notation এ ভাগ করে থাকে। একটু খেয়াল করে দেখুন নিচের IPv4 example IP টি। ১৯২.১৬৮.২৩৯.১ এটি একটি IPv4 IP number এর উদাহরণ বা আপনার কম্পিউটারের একটি ডিফল্টIP Number আছে তা হলো ১২৭.০.০.১। একটু খেয়াল করে দেখুন কম্পিউটার কিন্তু শুধু মাত্র বাইনারীতেই পড়তে পারে। কিন্তু এখানে Decimal Number এ আছে আসলে IP Number টি Decimal এ থাকলেও আপনার কম্পিউটার কিন্তু এটাকে বাইনারীতেই পড়তেছে।

চারটি ভাগে ভাগ করেছে IPv4 Address টাকে। আর প্রতিটি Decimal সংখ্যাটিকে Binary তে রূপান্তর করলে ৮ বিট করে আমরা পাই। অর্থাৎ ৮ বিট = ১ বাইট হয়। এবার দেখেন আসল মজাটা কেন।Pv4 ৩২ বিটের হয় ?

আপনারা দেখেছেন যে, প্রতিটি ভাগে ৮ বিট করে আছে। সেহেতু ৮*৪ = ৩২ বিট হয়। আর এই কারণেই মূলত।Pv4 হচ্ছে ৩২ বিটের। হয়তো কিছুদিন পর IPv4 আর থাকবে না যখন বিপুল পরিমাণ ডিভাইস হবে। এটার IP address ধারণ ক্ষমতা অনেক কম IPv4। মাত্র ২^৩২ = যা হয়।

IPv6: এটিও একই রকম শুধু ভার্সন ৬ এটিকে বলে। এর কারণ হলো এটির IP address ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। Pv4 এর চেয়ে। এর কারণ হলো এর IP adress টি হবে এই রকম
2001:0db8:0000:00000000ff00:0042:8329। অর্থাৎ মোট ৮ টি গ্রুপ থাকবে কিন্তু প্রতি গ্রুপ হবে ১৬ বিটের। অর্থাৎ ৮ * ১৬ = ১২৮ বিটের। এই কারণেই IPv6 হয় ১২৮ বিটের। আর এর আইপি ঠিকানার ধারণ ক্ষমতা হবে অনেক অনেক বেশি।Pv4 এর চেয়ে, ২^১২৮ = একটু হিসাব করে দেখেন। IPv6 এখনো প্রস্তাবিত আছে। হয়তো আগামী কয় একবছরের মাঝে ওপেন হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *