আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হচ্ছে শায়খ আহমদুল্লাহ পরিচালিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। যেখানে তিনি সমাজের বিত্তশালী মানুষের থেকে ও নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে দেশের গরীব দুঃখী মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন।
এর আগে গত ( ২৩ মে’ ২০২২) মাসেও সিলেট বন্যার্ত কয়েক হাজার পরিবারকে খাদ্য ও একান্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ-সহায়তা প্রদান করেছে।
যার মধ্যে ছিল –
প্রত্যেক পরিবারকে যেসব উপকরণ প্রদান করা হয়েছে:
চাল ৫ কেজি
মসুর ডাল ১ কেজি
আলু ২ কেজি
চিড়া ১ কেজি
লবন ১ কেজি
খেজুর এক কেজি
সয়াবিন তেল ১ লিটার
মরিচের গুড়া ১০০ গ্রাম
হলুদের গুড়া ১০০ গ্রাম
ধনিয়ার গুড়া ১০০ গ্রাম
৭৫ গ্রাম সাবান
ওরস্যালাইন ১০টা
পেঁয়াজ ১ কেজি
এবং এবারো তিনি সিলেটবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ্। আমরা উনার এবং আরো যে সকল সংঘটন সিলেটবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও আল্লাহ্র নিকট প্রাণ ভরে দোয়া করি আল্লাহ্ যেন আপনাদের কখনো কোন কষ্ট না দেন। সারা জীবন যেন আপনারা মানুষের পাশে থেকে হাঁসি ফুটাতে পারেন। (আমিন)
সিলেটের বন্যার বিষয়ে শায়েখ আজ তাঁর অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে লিখেন –
ঠিক এই মুহূর্তে বাইরের মানুষের চেয়ে বন্যা দুর্গত অঞ্চলের লোকদের পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করা বেশি জরুরি। বাড়ি বা আসবাবপত্রের মায়া না করে সুযোগ থাকলে আপনার আশপাশের কাঁচাঘরের বাসিন্দাদেরকে নিজের দালানে তুলে নিন। ঘরে থাকা খাবার কষ্টে থাকা প্রতিবেশীদের সঙ্গে শেয়ার করুন। স্বার্থপরতার সীমানা ভেদ করে মানবতার কল্যাণে বেরিয়ে আসার সুবর্ণ সময় এটি। এ ধরনের ছোটখাট আমল কোনো ঈমানদারের জান্নাত নিশ্চিত করে দিতে পারে।যারা এই কঠিন সময়কে সুযোগ মনে করে ৮০০ টাকার নৌকা ভাড়া ৫০ হাজার দাবি করছে, তারা মানুষরূপী অমানুষ।আপনার জীবন সংকটাপন্ন মনে হলে তাদেরকে ন্যয্যমূল্যে সার্ভিস দিতে বল প্রয়োগ করতে পারেন। বা জোরপূর্বক নৌকা নিয়ে জীবন রক্ষা করতে পারেন। অবশ্য জীবন বিপন্নের আংশকা না থাকলে এমনটি করা যাবে না।বেঁচে থাকলে টাকা উপার্জনের সুযোগ বহু আসবে। কিন্তু জান্নাত এতো কাছে সব সময় আসে না। সুতরাং মানুষের কল্যাণে সর্বোচ্চ ত্যাগের স্বাক্ষর রাখুন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ তারা যারা মানুষের কল্যানে নিজেকে বেশি নিবেদিত রাখে। (তাবরানী ছাগীর)যাঁরা দূরে আছেন, তাঁদেরও উচিত সামর্থ অনুযায়ী সহযোগিতা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। বিশেষভাবে আশে-পাশের এলাকাগুলো থেকে নৌকা নিয়ে উদ্ধার কর্মে লিপ্ত হতে পারেন। এই মুহূর্তে এটার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। শুকনা খাবারসহ একান্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ নিয়েও হাজির হওয়া যেতে পারে।মহান আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।