আলিমে যেভাবে দেশসেরা ঝালকাঠির এন এস কামিল মাদ্রাসা

আলিমে যেভাবে দেশসেরা ঝালকাঠির এন এস কামিল মাদ্রাসা

আমাদের শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষের বাইরেও আলাদাভাবে কোচিং দিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করেন। এখানে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন বুঝিয়ে দিতে হয়। তাই শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট করে।’

কথাগুলো বলছিলেন ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী এন এস কামিল মাদ্রাসার (নেছারাবাদ মাদ্রাসা) শিক্ষার্থী মো. খায়রুল ইসলাম। তিনি এবারের আলিম পরীক্ষায় মাদ্রাসাটির বিজ্ঞান শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। খায়রুলের মতো ২৫৬ জন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানটি থেকে আলিম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। বিজ্ঞান ও মানবিক শাখা মিলিয়ে অংশগ্রহণ করা ৩৭৪ জনের সবাই পাস করেছেন। গত বছরও আলিম পাসের হার ছিল শতভাগ।

দেশের বিভিন্ন স্থানের ছাত্ররা ঝালকাঠি সদরের বাসন্ডা গ্রামে আবাসিক ছাত্রবাসে থেকে এন এস কামিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় ক্লাস পরীক্ষা, দুর্বল ছাত্রদের জন্য বছরের বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত ক্লাস, আবাসিক ছাত্রদের জন্য সার্বক্ষণিক নজরদারির কারণে পাবলিক পরীক্ষাগুলোয় এ প্রতিষ্ঠান বরাবরই গৌরবোজ্জ্বল ফলাফল লাভ করেছে। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের আবাসিকে থাকা বাধ্যতামূলক হওয়ার কারণে তাঁদের প্রতি আলাদা যত্ন নেওয়া হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে বেড়িয়ে অনেকেই চিকিৎসক ও প্রকৌশলী হয়ে দেশের বিভিন্ন দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন।

মাদ্রাসা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসায় পাসের হার শতভাগ। দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসায় পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯০। তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, ঢাকা শাখার পাসের হার ৯৯ দশমিক শূন্য ৭ ও টঙ্গী শাখার পাসের হার ৯৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। এন এস কামিল মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগে ৪৭ জন অংশ নিয়ে ৩২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। সাধারণে ৩২৭ জন অংশ নিয়ে ২২৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।মাদ্রাসার বিজ্ঞান শাখার শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে আধুনিক ল্যাব ও পরীক্ষাগারে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানো হয়। গণিত ও বিজ্ঞান দুটি বিষয়ই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। যার কারণে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে।

সদর উপজেলার বাসন্ডা গ্রামে প্রখ্যাত আলেম হজরত মাওলানা মুহাম্মদ আযীযুর রহমান কায়েদ সাহেব ১৯৫০ সালে ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নামে একটি মক্তব হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৯৫৬ সালে এন এস কামিল মাদ্রাসা নামে পূর্ণাঙ্গরূপে যাত্রা শুরু করে। ১৯৬১ সালে মাদ্রাসাটি দাখিল ও ১৯৮৬ সালে কামিল (হাদিস) পর্যায়ে উন্নীত হয়। মাদ্রাসার দাখিল ও আলিমে পর্যায়ে বিজ্ঞান ও মানবিক উভয় শাখা চালু আছে। ফাজিলে দুটি বিষয়ে অনার্সের সুযোগ রয়েছে। মাদ্রাসাটি ২০০৬ সালের ফাজিল ও কামিল ডিগ্রি প্রদানের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার অধিভুক্ত হয়। একই বছর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার অধীন স্থানান্তরিত হয়।

মাদ্রাসা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসায় পাসের হার শতভাগ। দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসায় পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯০। তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, ঢাকা শাখার পাসের হার ৯৯ দশমিক শূন্য ৭ ও টঙ্গী শাখার পাসের হার ৯৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। এন এস কামিল মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগে ৪৭ জন অংশ নিয়ে ৩২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। সাধারণে ৩২৭ জন অংশ নিয়ে ২২৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।মাদ্রাসার বিজ্ঞান শাখার শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে আধুনিক ল্যাব ও পরীক্ষাগারে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানো হয়। গণিত ও বিজ্ঞান দুটি বিষয়ই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। যার কারণে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে।

সদর উপজেলার বাসন্ডা গ্রামে প্রখ্যাত আলেম হজরত মাওলানা মুহাম্মদ আযীযুর রহমান কায়েদ সাহেব ১৯৫০ সালে ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নামে একটি মক্তব হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৯৫৬ সালে এন এস কামিল মাদ্রাসা নামে পূর্ণাঙ্গরূপে যাত্রা শুরু করে। ১৯৬১ সালে মাদ্রাসাটি দাখিল ও ১৯৮৬ সালে কামিল (হাদিস) পর্যায়ে উন্নীত হয়। মাদ্রাসার দাখিল ও আলিমে পর্যায়ে বিজ্ঞান ও মানবিক উভয় শাখা চালু আছে। ফাজিলে দুটি বিষয়ে অনার্সের সুযোগ রয়েছে। মাদ্রাসাটি ২০০৬ সালের ফাজিল ও কামিল ডিগ্রি প্রদানের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার অধিভুক্ত হয়। একই বছর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার অধীন স্থানান্তরিত হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *