ইরানে সাফল্যের পর বিমানবন্দরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজকে সংবর্ধনা

ইরানে সাফল্যের পর বিমানবন্দরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজকে সংবর্ধনা

ইরানের ৩৯তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ শেখ মাহমুদুল হাসানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার ইরান থেকে দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর আগে গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তেহরানের সামিট হলে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির উপস্থিতিতে বিজয়ী প্রতিযোগীদের সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়।

ইন্টারন্যাশনাল কোরআন নিউজ এজেন্সি সূত্রে জানা যায়, ইরানের আওকাফ ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৮০টি দেশের দেড় শ প্রতিযোগী অংশ নেয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বাছাইকৃত প্রতিযোগীদের নিয়ে তেহরানে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে বিশ্বের ৩৩টি দেশের ৫২ ছেলে ও মেয়ে অংশ নেয়।

কোরআনের তারতিল ক্যাটাগরিতে মেয়েদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে ইরানের ফাহিমেহ আসগারজাদেহ, লেবাননের লায়লা আফারা ও আফগানিস্তানের আমিনেহ শিরজাদ। হিফজ ক্যাটারিতে মেয়েদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে ঘানার আমিনা ইবরাহিম, ইরানের হাজার মেহরালিয়ান ও আলজেরিয়ার নাসরিন খালেদি।

কোরআনের তারতিল ক্যাটাগরিতে ছেলেদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে ইরানের মোহাম্মদ জাভেদ জাবেরি, কিরগিজস্তানের মোহাম্মদ ইয়ার ও লেবাননের ইসমাইলন হামদান। হিফজ ক্যাটাগরিতে ছেলেদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে ইরানের সিনা তাব্বাকি, কেনিয়ার আবদুল আলিম আবদুল রহিম ও বাংলাদেশের শেখ মাহমুদুল হাসান।

এদিকে কিরাত ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে ইরানের আমির হোসাইন রহমাতি, আফগানিস্তানের সাইয়েদ আমির হাসেমি ও ইন্দোনেশিয়ার আবদুল্লাহ ফিকরি।

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে ইরান প্রতিবছর পবিত্র কোরআন বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এবার প্রতিযোগিতার প্রতিপাদ্য ছিল ‘ওয়ান বুক ওয়ান উম্মাহ’ তথা ‘এক গ্রন্থ এক জাতি’। গত বছর এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিল বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম (১৩)।

১৯ বছর বয়সী মাহমুদুল হাসানের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বালুচর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম হাফেজ ইমামুল হোসাইন। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা শান্তিধারা এলাকার মাকাযুল মাদীনা আল লতিফী আল ইসলামী মাদরাসার পড়াশোনা করে।

তাঁর শিক্ষক মুফতি মাওলানা মুঈন উদ্দিন লতিফী কালের কণ্ঠকে বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ। আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজদের কৃতিত্বের ধারাবাহিকতায় আরো একটি সংযোজন হয়েছে। আমরা সবার

কাছে প্রিয় শিক্ষার্থী হাফেজ মাহমুদুল হাসানের জন্য দোয়া কামনা করি। মহান আল্লাহ যেন তাকে ইসলামের জন্য কবুল করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *