ওলামাদের আগমনে বাতিলরা আতঙ্কিত: পীর সাহেব চরমোনাই

ওলামাদের আগমনে বাতিলরা আতঙ্কিত: পীর সাহেব চরমোনাই

রাজধানীতে ওলামাদের আগমনে বাতিলরা আতঙ্কিত বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

শনিবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় ওলামা মশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজীকে সভাপতি, মাওলানা গাজী আতাউর রহমানকে সিনিয়র সহসভাপতি ও মাওলানা রেজাউল করীম আবরারকে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

রেজাউল করীম বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাই অবগত। আগে ডাকাতরাও হক্কানি ওলামাদের ভয় পেত। এখন ওলামাদের জেলে বন্দি করতে, হামলা করতে ও রক্ত ঝরাতে দ্বিধাবোধ করে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শায়খ জাকারিয়া রহ. ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, ওলামা মশায়েখদের শক্তিশালী একটি সংগঠন থাকা দরকার। এই প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন হলো- জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ। শেষ নবীর পরে সমাজ নষ্ট হলে নবীওয়ালা সব কাজ ওলামাদের করতে হবে। পরিপূর্ণ দ্বীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে বাধা এলে তার মোকাবিলা ওলামা মশায়েখ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সব চক্রান্ত নস্যাৎ করার দায়িত্ব ওলামায়ে কেরামের।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। ভোট ও খাদ্যের সংকট নিয়ে সবাই চিন্তিত। সংকটের মূল কারণ কোরআন ও সুন্নাহ থেকে আমাদের বের করে আনতে হবে। আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দূরত্বের কারণে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। নায়িকা-গায়িকারা যদি আইনপ্রনেতা হয়, তাহলে রাষ্ট্রের কল্যাণ হবে না। অতীতে ৭টি শিক্ষা কমিশন হয়েছে। এই কমিশনে কেন একজন আলেমকে রাখা হয়নি। এই শিক্ষা কারিকুলামে মুসলিম চেতনাবিরোধী বিষয় সন্নিবেশিত করা হয়েছে। পীর সাহেব চরমোনাই এই ইসলামবিরোধী সিলেবাসের বিরুদ্ধে জোরাল প্রতিবাদ করেছেন। এখনও ইসলামবিরোধী বিষয় সিলেবাসে যুক্ত করা আছে। ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকলে হাফেজ, আলেম তৈরি হবে না। কোরআন শিক্ষা হবে না।

ড. আ ফ ম খালেদ হোসেন বলেন, আমাদের চোখ-কান খোলা রেখে চলতে হবে। যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন হলে আমারা হাতপাখাকে নির্বাচিত করতে ঘাম ঝরাব। আর যদি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের চক্রান্ত হয় তবে ময়দানে নেমে তাজা রক্ত দিয়ে শহীদ হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, জামিল মাদ্রাসার বগুড়ার মোহাদ্দিস মাওলানা আবদুল হক আজাদ, খুলনা দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোশতাক আহমদ, বরিশাল মাহমুদিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *