কঠিন বিপদে যে ৩ দোয়া পড়তে বলেছেন রাসুল সা.

কঠিন বিপদে যে ৩ দোয়া পড়তে বলেছেন রাসুল সা.

যে কোনো বিপদ আপদে ধৈর্য ধারণ ও আল্লাহর সহায্য প্রার্থনা মুমিনের কর্তব্য। আল্লাহই মুমিনের চূড়ান্ত ভরসাস্থল। কুরআনে আল্লাহ তার সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে। আল্লাহ বলেন,

وَ اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ وَ اِنَّهَا لَکَبِیۡرَۃٌ اِلَّا عَلَی الۡخٰشِعِیۡنَ

আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় তা বিনয়ী ছাড়া অন্যদের উপর কঠিন। (সুরা বাকারা: ৪৫)

নবিজির (সা.) অভ্যাস ছিল যে কোনো বিপদের সময় নামাজে দাঁড়ানো। তার সাহাবি হোজাইফা (রা.) বলেন, নবি (সা.) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। (সুনান আবু দাউদ: ১৩১৯)

আল্লাহর নির্দেশ ও নবিজির অনুসরণ করে যে কোনো কঠিন বিপদ আপদে আমরা ধৈর্য ধারণ ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে পারি।

এ ছাড়া নবিজির শেখানো এই ৩টি দোয়া আমরা করতে পারি:

১. রাসুল (সা.) দোয়া করতেন,

اللَّهمَّ لا سَهْلَ إلَّا ما جعَلْتَه سَهلًا وأنتَ تجعَلُ الحَزْنَ سَهلًا إذا شِئْتَ

হে আল্লাহ আপনি যা সহজ করেন, তা ছাড়া কিছুই সহজ নয়। আপনি চাইলে কঠিন বিপদকেও সহজ করতে পারেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান)

যে কোনো বিপদে রাসুলের (সা.) শেখানো এই দোয়াটি আমরা করতে পারি।

২. রাসুল (সা.) বলেছেন, ওই ব্যক্তির দুনিয়ার সব ব্যাপারে আল্লাহই যথেষ্ট হবেন, যে সকালে ও সন্ধ্যায় সাত বার এই দোয়াটি পড়বে,

حَسۡبِیَ اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ عَلَیۡهِ تَوَکَّلۡتُ وَ هُوَ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِیۡمِ

আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আমি তাঁরই ওপর ভরসা করেছি আর তিনিই আরশের রব। (মুনজিরি, তারগিব ওয়াত-তারহিব)

এই দোয়াটি কোরআনের সুরা তাওবার ৪৫ নং আয়াতে আল্লাহও আমাদের শিখিয়েছেন। আল্লাহ ও নবিজির শেখানো এই দোয়াটি প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় আমরা পড়তে পারি।

৩. রাসুল (সা.) দোয়া করতেন,

يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ، وأَصْلِحْ لي شَأْنِي كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ أبدا

হে চিরস্থায়ী, সব কিছুর ধারক ও রক্ষাকর্তা! আমি আপনার করুণার মাধ্যমে সাহায্য চাই; আমার সব সমস্যা মিটিয়ে দিন এবং এক পলকের জন্যও আমার ভার আমার নিজের ওপর দেবেন না। (নাসাঈ ফিস-সুনান আল কুবরা)

এ দোয়াটি রাসুল (সা.) তার মেয়ে ফাতেমাকে (রা.) শিখিয়েছিলেন এবং সকালে ও সন্ধ্যায় পড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

রাসুলের (সা.) এ ৩টি দোয়া আমাদের যে কোনো কঠিন বিপদ-আপদের সহায় হতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *