বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ইসলামী মহাসম্মেলন চরমোনাই বার্ষিক ফাল্গুনের মাহফিল আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার বাদ জোহর থেকে শুরু হবে। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে এ মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে তিন দিন।
কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত চরমোনাই মাদ্রাসার ময়দানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাহফিলের ৩-৪ দিন আগেই মুসুল্লিদের সমাগম শুরু হয়েছে। মুসল্লিদের থাকার জন্য প্রস্তুত হয়েছে ৬ টি মাঠ। প্রস্তুত করার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন চরমোনাই জামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ওস্তাদবৃন্দ।

গত ৯ তারিখ মাহফিলের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, এবং ফায়ার সার্ভিসের প্রধানদের সাথে মাহফিল কতৃপক্ষ প্রতিনিধিদের সাথে সরাসরি বৈঠক হয়েছে, বৈঠকে তারা সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন ।
এছাড়াও আগত মুসুল্লিদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত করা হয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী হাসপাতাল।
চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলের বহুমাত্রিক তাৎপর্য!
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই ইসলামী সম্মেলনে লক্ষ লক্ষ পথহারা মানুষ হেদায়াতের রাস্তা পেতে সক্ষম হয়েছে। চরমোনাই মাহফিলের রূহানী আমেজ দিনদিন অভাবনীয় গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ। কীর্তনখোলা নদির তীরে বসে আল্লাহর পাগলদের এই মিলন মেলা। দিকভ্রান্ত পথহারা মানুষ এই ময়দানের বরকতে আল্লাহ ওয়ালাদের কাতারে শামিল হওয়ার প্রতিযোগিতা করে।
দুনিয়ার লোভ, শয়তানের প্ররোচণায় রোগাক্রান্ত অন্তর, স্বার্থ ও মোহের ঘুর্ণাবর্তে পড়ে নষ্ট হওয়া জীবনকে রূহানিয়াতের নুরে ধুঁয়ে মুছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য এই মাহফিল বেশ কার্যকর। জিকিরের ধ্বনি ও ইশকের আগুনে নিজের আমিত্বকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিজেকে খাঁটি সোনায় পরিণত করবার চরমোনাই মাহফিল কার্যকরী এক রুহানী কারখানা।

মাহফিলের তাকওয়াপূর্ণ পরিবেশ, চমৎকার শৃঙ্খলা, রূহানী বয়ান, মুজাহিদদের ক্ষণেক্ষণে জিকিরের ধ্বণিতে মনে হয় মহান আল্লাহ আসমান থেকে লক্ষ লক্ষ ফেরেস্তা নাযিল করছেন। ইসলামের পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনার আলোকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন সাজাতে চরমোনাই মাহফিল অন্যন্য।
আগামীকাল থেকেই শুরু হচ্ছে ১৫, ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারী’২৩ চরমোনাই ফাল্গুনের বার্ষিক মাহফিল। আপনিও আসতে পারেন। সরাসরি না দেখলে হয়তো এসবের কিছুই আপনার বিশ্বাস হবে না।