নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয় – মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)

নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয় – মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)

নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই ইসলাম, দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

শনিবার (১৪ মে) বিকেলে চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

 ইসলামপন্থীদের কৌশলে দাবিয়ে রাখতে ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচার চলছে। ১১৬ জন আলেম ও এক হাজার মাদরাসার তালিকা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। যারা তালিকা তৈরি করেছে, তারা নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী ও তিরস্কৃত -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, সাবেক বিচারপতি মানিক চৌধুরী নিজের দ্বৈত নাগরিকত্ব গোপন রেখে বিচারপতি হয়েছে, যা সংবিধান বিরোধী। দেশে আইন আদালত থাকতে গণকমিশন গঠন দেশের সংবিধান পরিপন্থী কাজ। দেশের ওলামায়ে কেরামের তালিকা করে দুদকে দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যারা ওলামায়ে কেরামদের বিরুদ্ধে লাগছে, সেই তথাকথিত গণকমিশনের স্বার্থে সম্পৃক্তদের ইসলামের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলাম কী জিনিস তাও তাদের বুঝার যোগ্যতা নেই। এমন অপরাধী ও তিরস্কৃত ব্যক্তিরা মাদরাসা ও আলেমদের ভুল ধরার চেষ্টা করছে। ঠিক আছে, আগে তুরিন ও মানিকদের কৃত অপরাধের বিচার করতে হবে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী দেশের আইন আদালতের মাধ্যমে ওলামায়ে কেরামের কোনো অপরাধ থাকলে সেটার বিচার হবে। কিন্তু গণকমিশন গঠনের এখতিয়ার তাদের কে দিয়েছে? সেটা স্পষ্ট করতে হবে।

একটি গোষ্ঠী কৃত্রিমভাবে জঙ্গিবাদকে দেশের প্রধান সমস্যা আকারে হাজির করার পায়তারা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে যখন স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের দলীয় হানাহানিতে শতশত মানুষ মারা যাচ্ছে, তখন তারা কথিত সাম্প্রদায়িকতাকে ইস্যু আকারে উপস্থাপন করছে। দেশে যখন সরকারদলীয় ব্যক্তি ও সরকারের কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির খবরে মানুষ অতিষ্ঠ, তখন এরা ওলামাদের আর্থিক লেনদেন নিয়ে হাউকাউ শুরু করেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ এই নেতা বলেন, জাতি এই ধান্ধাবাজ অশুভ গোষ্ঠীকে চেনে। কারা এদেরকে অর্থায়ন করে, তাদের মতলব কি তা মানুষ জানে। এরা হলো দুর্নীতির দোসর, লুটপাটের দোসর। এরা মানুষের ভাত-ভোটের অধিকার হরণকারীদের ছা-পোষা বুদ্ধিজীবী, এরা দুষ্ট প্রতিবেশীর পা-চাটা গোলাম। দেশের মানুষ তাদেরকে পাত্তা দেয় না। গুটিকয়েক মতলববাজী মিডিয়ার হুল্লোড় ছাড়া এদের কোনো জনভিত্তি নাই। জনতা এদেরকে প্রতিহত করবে।

সম্মেলনে শিক্ষাবিদ ড. আহম খালিদ হোসাইন, নওমুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ বক্তব্য রাখেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *