সারাদেশে বন্যার্তদের মাঝে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। জানা গেছে, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, সিলেটের সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন জেলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, চিড়া, ডাল, তেল, মসলা, লবণ, ছাতু, চিনি, খেজুর, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মূলত একটি সরকার নিবন্ধিত সমাজসেবামূলক, অরাজনৈতিক ফাউন্ডেশন। ২০১৭ সালে শায়খ আহমাদুল্লাহ এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমরা দল-মত নির্বিশেষে চেষ্টা করেছি গণহারে ত্রাণ দেওয়ার জন্য। এই কার্যক্রমে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী ভাইয়েরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। যারা অনুদান দিয়েছেন ও বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন, তাদের আল্লাহ কবুল করুন।
সোমবার শায়খ আহমদুল্লাহ তাঁর বেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে ত্রাণ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন। তিনি লিখেন –
বন্যা দুর্গতদের মাঝে As sunnah Foundation মোট ১০৩২.৩২৮ মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে। যার সিংহভাগ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে কিছু মালামাল এখনো বিতরণ চলছে। যা দুয়েকদিনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা রাখি। প্রাথমিক ত্রাণে এখনো পর্যন্ত মোট ছয় কোটি পঁয়তাল্লিশ লাখ পঁচানব্বই হাজার দুইশত আটচল্লিশ টাকা (৬,৪৫,৯৫,২৪৮/=) ব্যয় হয়েছে। শীঘ্রই ব্যপকভাবে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করবো আমরা ইন শা আল্লাহ। এটা প্রাথমিক হিসাব। চূড়ান্ত হিসাব (পুনর্বাসনসহ) পুরো কার্যক্রম শেষ হলে সচিত্র প্রতিবেদনে জানানো হবে ইন শা আল্লাহ।
উল্লেখ্য, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন যে কোনো প্রজেক্ট পরিচালনা শেষে বিস্তারিত হিসাব প্রকাশ করে থাকে।
তিনি আরো বলেন –
বাজারের তুলনামূলক ভালো জিনিসটা আমরা যথাসাধ্য কম দামে কেনার চেষ্টা করেছি। বাজার ওঠানামার কারণে স্বল্প বিরতিতে কেনা একই জিনিসের কোনো কোনোটির দামে কিঞ্চিৎ হেরফের হয়েছে। নষ্ট হওয়ার আশংকা থেকে দ্রুত পঁচনশীল কোনো কিছু দেওয়া হয়নি। চালটা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হওয়ায় চাল বেশি করে বিতরণ করা হয়েছে। খুব বেশি উল্লেখযোগ্য কোন বড় ফিগারের দান আমাদের জানা মতে তহবিলে জমা হয়নি। আপামর সাধারণ মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানেই গড়ে উঠেছে কোটি টাকার তহবিল।