মিনার উদ্দেশ্যে হাজীরা

মিনার উদ্দেশ্যে হাজীরা

সৌদি আরবে হাজীরা আজ মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরছেন, যেখানে পৌছে তারা হজের রুকন রামি তথা শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের কর্ম সম্পাদন করবেন।

জামরাতে হজের অন্যতম কাজ হলো রামি তথা শয়তানকে পাথর মারা। হাজীরা গতকাল সন্ধ্যায় মুজদালিফার উদ্দেশ্যে আরাফার ময়দান ত্যাগ করেন। হজীরা জামরাতে রমি করার পর কোরবানি করবেন, কুরবানী পরিপূর্ণ হওয়ার পর হলক বা তাকসির (চুল মুণ্ডন বা কাটা) পরে ইহরাম খুলবেন।

এর আগে হজের খুতবা শেষে সন্ধ্যায় মুজদালিফার দিকে যাত্রা করেন তারা। মুজদালিফায় রাত কাটানোর পর আজ সকাল থেকে হাজীরা জামরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

মাশাআরে মুকাদ্দাস মুজদালিফায় তৃতীয় অবস্থান-

মাশাআরে মুকাদ্দাস মুজদালিফা, মিনা ও আরাফার মাঝখানে অবস্থিত। মাশাআরে মুকাদ্দাসকে তৃতীয় অবস্থানের স্থান হিসাবে বিবেচিত করা হয়। মুজদালিফার নামে মাশাআরে মুকাদ্দাসের একটি রেওয়ায়াত আছে, এর কারণ এটাও হতে পারে যে, হজযাত্রীরা মুজদালিফার সাথে মিল রেখে রাতের অন্ধকারে এখানে আসেন। এজন্য একে মুজদালিফা (রাতের গন্তব্য) বলা হয়।

কেউ কেউ বলেন মুজদালিফা নাম দেয়ার কারণ হলো এখানে পৌঁছানোর পর হাজীগণ হারামের নিকটবর্তী হয়ে যান, আর তার অর্থ হলো ঐ স্থান যেখানে পৌছার পর হাজীগণ হারামের নিকটবর্তী হয়ে যান। এখানে হাজীরা মাগরিব ও এশার নামাজ কসর আদায় করেন এবং জামরাতের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন। হাজীরা ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত এখানে রাত কাটাবেন এবং সকালে মিনায় রওনা হবেন। মুজদালিফার আয়তন ১৩ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি। এর পশ্চিমে মিনা এবং পূর্বে আরাফা অবস্থিত। আর সেখানেই ওয়াদিয়ুল মাহশার যা মিনা এবং মুজদালিফার মাঝখানে অবস্থিত।

একোইভাবে, এই উপত্যকাটা মিনা এবং মুজদালিফার মধ্যে সীমানা হিসাবে কাজ করে।

সূত্রঃ আল আরাবিয়া ডট নেট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *