মোখার তাণ্ডবে কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

মোখার তাণ্ডবে কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারের ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে। গতকাল রোববার (১৪ মে) বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানে মোখা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, উখিয়া ও টেকনাফে তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে দুর্যোগ কবলিত হয়েছে ৩টি পৌরসভাসহ ৫৭টি ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের ১০ হাজার ৪৬৯টি বাড়িঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২ হাজার ৫২২টি ঝুপড়ি ঘর। ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচতে জেলার ৭ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ২৪১ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিকে চলে যাওয়ার পর তারা আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে যান।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনে প্রায় ৯০ ভাগ বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপের ছোট-বড় হাজারো গাছ ভেঙে গেছে। গাছ পড়ে ৬ জন আহত হয়েছেন।

এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, সাবরাং, টেকনাফ পৌরসভা, সদর ইউনিয়ন, বাহারছড়া ইউনিয়ন, উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী, পাটুয়ারটেক, সোনাপাড়া এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম জানান, ওইসব এলাকার ৩০ শতাংশ গাছ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া বহু ঘর ভেঙে গেছে। সেন্টমার্টিন বাদ দিলে টেকনাফ উপজেলায় আরও কম হলেও এক হাজার ঘর ভেঙে গেছে। একইসঙ্গে জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধের কিছু এলাকা ভেঙে গেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *