ক্ষমার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। পরিবার ও সমাজে শান্তি ফিরে আসে। ক্ষমাকারীর অন্তরে প্রশান্তি থাকে। সাহাবিরা ছিলেন ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে তাঁরা হয়ে উঠেছিলেন পৃথিবীতে সর্বোত্তম মানুষ। এখানে ওমর (রা.)-এর একটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো :
একবার এক ব্যক্তি ওমর ফারুক (রা.)-এর মুখের ওপর তাঁকে কৃপণতা ও জুলুমের মিথ্যা অপবাদ দেয়। এতে তিনি ধৈর্য ধারণ করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন। ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার ওয়ায়না বিন হিছন বিন হুজায়ফা এসে তার ভাতিজা হুর বিন কায়সের কাছে অবস্থান করল।
আর হুর ছিলেন ওমর (রা.)-এর নিকটাত্মীয় লোকদের অন্যতম। অতঃপর তার মাধ্যমে সে খলিফা ওমর (রা.)-এর কাছে প্রবেশ করে বলল, ‘হে ওমর বিন খাত্তাব! আপনি আমাদের বেশি বেশি দান করেন না এবং আমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করেন না।’
এতে ওমর (রা.) রাগান্বিত হয়ে তাকে একটা কিছু করতে উদ্যত হলেন। তখন হুর বিন কায়স বলেন, হে আমিরুল মুমিনিন! আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে তাঁর নবীকে বলেছেন, ‘তুমি ক্ষমার নীতি গ্রহণ করো। মানুষকে ভালো কাজের আদেশ দাও এবং মূর্খদের এড়িয়ে চলো।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৯৯)
আর এই লোক তো অবশ্যই মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর কসম! ওমর (রা.) আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেননি। আল্লাহর কিতাবের সামনে তিনি চুপ হয়ে গেলেন। (বুখারি, হাদিস : ৪৬৪২)